গত ১০ই জুলাই কসবা সুরঞ্জনীর উদ্যোগে রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হল সংগীতাচার্য শৈলজারঞ্জন মজুমদারের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। রীণা মুখোপাধ্যায় সংগীতাচার্য শৈলজারঞ্জন মজুমদারের একনিষ্ঠ ও স্নেহধন্যা শিষ্যা ছিলেন। তাই গুরুপূর্ণিমার দিনে তাঁর গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এই অনুষ্ঠান
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শান্তিনিকেতনের তিনজন বিশিষ্ট শিল্পী প্রশান্ত ঘোষ, প্রলিপ্ত ঘোষ ও পলাশী ঘোষের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ৭টি গান। তাঁদের গায়কী ও সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ হন শ্রোতারা।
দ্বিতীয়ার্ধে আচার্যের সংক্ষিপ্ত জীবন কথা ও তাঁর কৃত স্বরলিপির কয়েকটি গানের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয় কসবা সুরঞ্জনীর শ্রদ্ধার্ঘ্য ‘আমার আপন গান’। পরিকল্পনা ,বিন্যাস ও পরিচালনায় ছিলেন রীণা মুখোপাধ্যায়। স্বনামধন্য বাচিক শিল্পী দেবাশিস বসু ও কর্নধার রীণা মুখোপাধ্যায়ের অনবদ্য পাঠের সঙ্গে একক, দ্বৈত ও সমবেত সঙ্গীত সুমধুর ও পরিশীলিত এবং পল্লবী রুজের পরিচালনায় হৃদয়গ্রাহী নৃত্য অনুষ্ঠানটিকে বিশেষ আকর্ষণীয় করে তোলে। অনুষ্ঠানে কয়েকটি গান এককভাবে শুরু হলেও পরে সমবেত কণ্ঠে গাওয়াতে তা সুখশ্রাব্য হয়। ভাস্বতী ভট্টাচার্য, চন্দনা সামন্ত এককভাবে শুরু করেন।একক সংগীতে ছিলেন মালিকা চক্রবর্তী, মৌসুমী মন্ডল, দীপাঞ্জন পাল, সায়ন মিত্র, প্রীতম চক্রবর্তী ও স্বয়ং রীণা মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে দ্বৈত সঙ্গীতে ছিলেন বাসব ঘোষ- লেখা বিশ্বাস, দীপাঞ্জন পাল- সিদ্ধার্থ বিশ্বাস, অভিরূপ গুহ-তপশ্রী রায়, রাজশীর্ষ দাস- রূপশীর্ষ দাস।
যন্ত্রানুসঙ্গের যথাযত সঙ্গত, মঞ্চসজ্জা, আলোক সম্পাত, ধ্বনি প্রক্ষেপন, সর্বোপরি রীণা মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনা – সবেতেই ছিল মৌলিকতা ও সৃজনশীলতার এক অপরূপ মেলবন্ধন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনুপ মতিলাল।